শিয়ালদা (জায়গার নাম) হতে ট্রেনে চেপে বসলেন বিবি,
মানে অধ্যাপক বিলাস বসু।গন্তব্য সোদপুর।এই
দুপুরে এত ভীড় হবে ধারনা ছিল না।
বসা দূরে থাক ফুটবোর্ডে দাড়াবার
জায়গা পেয়ে পার্টিশনে হেলান
দিয়ে দাড়াতে পেরেছেন তাই যথেষ্ট।
গিজগিজ করছে নানা বয়সি লোক,বিবির
সামনেই একটি বছর কুড়ি-বাইশের
ছেলে টাল সামলাতে না-পেরে গায়ের
উপর এসে পড়ছে।অধ্যাপক
বিবি পার্টিশানে হেলান
দিয়ে দাঁড়িয়ে,একটু সুবিধে জনক অবস্থান।
কাকু আপনি কোথায় নামবেন?
ছেলেটির লোভ বিবির জায়গাটার উপর।
সোদপুর।কটা স্টেশন পর সোদপুর?
এরপর চারটে স্টেশন।ছেলেটি জবাব
দেয়।ট্রেনের নিয়মিত যাত্রী নয় বিবি।
একটি বিশেষ কারনে এক সহকর্মির বাসায়
আজ যেতে হচ্ছে।ভদ্রমহিলার সোদপুর
পানশিলায় ফ্লাট।
হঠৎ খেয়াল হয় একটি হাত এসে তার
ধোনের উপর লাগছে। সরে যাবার তার
উপায় নেই।যা ভীড় এমন ঘটতেই পারে।
এবার ধোনের উপর হাতটা লেগে আছে।
কার হাত? আশপাশে তাকিয়ে বোঝার
চেষ্টা করেন।সচেতন ভাবে না অচেতন
ভাবে বোঝার চেষ্টা করেন।
সামনে দাঁড়ানো ছেলেটির
সঙ্গে চোখাচুখি হতে হাতটা সরে গেল।
বিবি মৃদু হেসে ভীড়ের মাথার উপর
দিয়ে বাইরের দিকে তাকালেন। ট্রেন
ছুটে চলেছে বাড়ী ঘর-দোর সব
সরে সরে যাচ্ছে। জানলার
ধারে বসে বাইরের দৃশ্য দেখার মধ্যে বেশ
রোমাণ্টিকতা আছে।
ট্রেন বিধান
নগরে ঢুকছে,ছেলেটি বিবির বুকের কাছ
ঘেষে এসে ধোনটা চেপে ধরলো।
বিবি মলদ্বারে চাপ দিয়ে ধোনটা মৃদু
নাড়তে থাকে,শক্ত হয়ে গেছে।লোক
যা নামল উঠল তার কয়েকগুন বেশি।
ছেলেটি আরো কাছে ঘেষে এল,
বিবি হাত নীচে চালান করে ওর পাছায়
চাপ দিল।ও মুচকি হাসলো,কিছু বলল না।
এই ভীড়ে কোথায় হাত ঢোকাচ্ছেন
দাদা? কে একজন বলল।
দেখছি পার্সটা ঠিক আছে কিনা?
বিবি সাফাই দেয়।
হ্যা-হ্যা,এই ভীড়
হচ্ছে ধান্দাবাজদের মওকা---।
ইতিমধ্যে চেন খুলে বাড়াটা বের
করে এনেছে ছেলেটি।বিবি চারদিক
লক্ষ্য করেন,কেউ দেখছে কিনা? যা ভীড়
নীচে কি হচ্ছে ইচ্ছে থাকলেও দেখার
উপায় নেই।
তোমার নাম কি? জিজ্ঞেস করেন
বিবি।
জয়দীপ,আপনি জয় বলবেন।
জয়,তুমি কি করো?
আমি বি.এ. পড়ি.....কলেজে।
এইযে ভাই বি.এ তোমার
ব্যাগটা হাতে নিয়ে নাও।একজন
মধ্যবয়সি যাত্রী বলে।
জয় তার স্কুল ব্যাগটি পিঠ
থেকে নামিয়ে বিবির
দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,কাকু একটু
ধরবেন?
বিবি হাত বাড়ীয়ে ব্যাগটি নেন।
এই ভীড়ে হকাররা তাদের
পসরা নিয়ে তাদের কাজ করে চলেছে।
মাথার উপর দিয়ে চলছে বিক্রী-বাট্টা।
ছেলেটি ধোনের ছাল ছাড়িয়ে টিপছে।
বিবির শরীর শিরশির করে।
ছেলেটি বুকে মুখ গুজে ফিস
ফিসিয়ে বলে,বেশ মোটা চুষতে ভাল
লাগবে।কোন উত্তর দেয়না বিবি।
বেশ কিছু লোক নামল বেলঘরিয়ায়।
সোদপুর কতদুর কে জানে? প্লাটফর্ম বড় করার
কাজ চলছে।কাধের
ঝোলা ব্যাগটা টেনে সামনে নিয়ে আসে
যাতে আড়াল হয় একটু।
ছেলেটি বাড়াটি ঠেলে প্যাণ্টের ভিতর
ঢুকিয়ে দিল।কি ব্যাপার বোঝার আগেই
ছেলেটি বলল, কাকু এগিয়ে আসুন।এবার
নামতে হবে।
জয় ভীড় ঠেলে দরজার
দিকে এগিয়ে যায়।বিবি তাকে অনুসরন
করেন।ট্রেন সোদপুর পৌছাতে একরকম
ঠেলে নামিয়ে দিল প্লাট ফর্মে।প্রচুর
লোক নামল সোদপুরে।বিবি ভাবে এবার
কোন দিকে যাবে?
কাকু আপনি কোথায় যাবেন?
ছেলেটি জিজ্ঞেস করে।
আমি যাব পানশিলা।
আপনার জায়গা আছে পানশিলায়?
আমি কলকাতায় থাকি।পানশিলায় এক
কলিগের বাসায় যাব।
ওহ্।আমার জায়গা আছে,আপনি যাবেন?
খুব ভাল লাগবে দেখবেন।
জায়গা কোথায়? তোমার বাড়ি?
শোনো আমার নাম বিলাশ বসু,আমি পড়াই।
না, আমার বাড়ি না।আমার পিসির
ফ্লাট,পিসি অফিস গেছে।আমার
কাছে ডুপ্লিকেট চাবি থাকে।
তোমার পিসির বাড়ি আর কেউ
থাকে না?
না, পিসি ডিভোর্সি,একা থাকে।
কিন্তু এখন তো যেতে পারব না।
ঘণ্টা খানেক পর আসতে পারি।
ভালই হবে,আমি ততক্ষনে বাড়ি গিয়ে
খেয়েদেয়ে আসি।ঐ যে দেখুন হলুদ রঙের
ফ্লাট,নাম .......এ্যাপার্টমেণ্ট। তিন তলায়
দশ নম্বর ফ্লাট।কাউকে কিছু জিজ্ঞেস
করতে হবে না,উঠে কলিং বেল
টিপবেন,আমি থাকবো।
ঠিক আছে।পানশিলা কি ভাবে যাব
বলতো?
এখান থেকে রিক্সায় উঠুন।
বিবি আপনি আসবেন তো?আপনার কণ্টাক্ট
নম্বরটা দেবেন?
হ্যা আসব।
হেসে বিবি ওকে মোবাইল নম্বর দিলেন।
ছেলেটি রিক্সায়
উঠিয়ে দিয়ে চলে যায়।রিক্সায়
উঠে ঘড়ি দেখেন বিবি।প্রায় দু-
টো বাজতে চলল। রঞ্জনাকে বেতনের
টাকাটা বুঝিয়ে দিয়েই
চলে আসবেন,বেশি দেরি করবেন না।অসুস্থ
কদিন ধরে যেতে পারছে না কলেজে।
বিধবা মাকে নিয়ে একা থাকে।
রিক্সা থেকে নেমে বাড়ি চিনতে
অসুবিধে হয় না।শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত তাই
অনেকে চেনে।খুব খুশি হয়েছে রঞ্জনা।
খাতির যত্ন করলো,ওর মায়ের সঙ্গে আলাপ
হল।তাড়াহুড়ো করেও
বেরোতে বেরোতে তিনটে বেজে গেল।
রিক্সা নিয়ে একেবারে ....
এ্যাপার্টমেণ্টের নীচে গিয়ে নামল।
জয়কে দেখতে পেল
দাঁড়িয়ে আছে ব্যালকনিতে।মোবাইল
বেজে ওঠে।
হ্যালো?
আমি জয়,তুমি কোথায়?
আমি তোমার ফ্লাটের নীচে।
তরতর করে উঠে গেল তিনতলায়,বেল
টেপার আগেই দরজা খুলে গেল।
খালি গা একটা শর্ট পরে আছে জয়।
মুখে খুশির হাসি।হাত বাড়িয়ে কাধের
ঝোলা ব্যাগটি নিয়ে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে
রাখে।একটি ঘরে নিয়ে যায়
বিছানা পাতা। পিসির শোবার ঘর
সম্ভবত।টি-শার্ট খুলে বিছানায় আরাম
করে বসে বিলাস বসু।জয় পাখার স্পিড
বাড়িয়ে প্যাণ্ট খুলে দেয়।নিজেও প্যাণ্ট
খুলে ফেলে।
বিলাস খাট
থেকে নেমে জয়কে জড়িয়ে ধরে চুমু খায়।
নিজের ঠোট ঠেলে দেয় বিবির মুখে।
বিবি লক্ষ্য করে জয়ের ব্রেষ্ট বেশ
ফোলা ফোলা।দু-হাতে চেপে ধরে জয়ের
দুধ।
কি ভাল লাগছে না? জয় জিগেস
করে।
হ্যা সোনা খুব ভাল লাগছে।
তুমি আগে কাউকে দিয়ে চুদিয়েছো?
হ্যা,আমার কোচিংযের স্যর।ওনার
বাড়াটা ছোট,তোমার মত নয়।
উনি কি এখনো চোদেন?
জয় চুপ করে থাকে কিছুক্ষন তারপর
বলে,আমি কোচিং ছেড়ে দিয়েছি।
বিবি জয়ের মাই
টিপতে টিপতে জিজ্ঞেস করেন,কেন ভাল
পড়ায় না?
না তা নয়।স্যরের বউ একদিন
দেখে ফেলে আমাকে তাড়িয়ে দেয়।
জয় বিবির
বাড়াটা ধরে নারাচাড়া করছে।
বিবি জিজ্ঞেস
করেন,আচ্ছা জয়,তোমাকে একটা কথা
জিজ্ঞেস করছি,তোমার পিসি কি জানেন
তোমার এইসব ব্যাপার?
জয় ফিক করে হেসে ফেলে বলে,আমার
পিসির বয়স বেশি না।ওই দেখুন
দেওয়ালে ছবি।ছোট করে চুল
ছাটা চোখে সান গ্লাস,
আধুনিকা মহিলা।বয়স চল্লিশের মধ্যে।
পিসি পুরোপুরি জানে না,তবে আমাকে
জড়িয়ে শুয়ে থাকে আদর করে।খুব
ভালবাসে আমাকে।জয় আর
দেরি করে না,বাড়াটা মুখে পুরে চুষতে শুরু
করে দিয়েছে।ঠোটের কষ
বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে লালা।বড় বড় নিশ্বাস
পড়ছে দুহাতে চেপে ধরেছে বিবির
পাছা।একসময় মুখ তুলে জিজ্ঞেস করে,ক্রীম
লাগবে?
ক্রীমের দরকার
নেই,চেপে ঢুকিয়ে দেব,আমার বাড়া বেশ
হার্ড।অবশ্য একটূ লাগালে তোমার কষ্ট কম
হবে।
কি ভাবে চুদবে?
কোচিংযের স্যর কি ভাবে চুদতেন?
আমি উপুড় হয়ে পাছা উচু করে শুতাম।
উনি আমার পিঠে চড়ে চুদতেন।
কেমন ভাবে চুদলে তোমার
বেশি ভাল লাগবে?
বিবি তুমি সামনা-
সামনি চুদতে পারবে?বেশ দুজন দুজন
কে দেখব,চুমু খাব।
বিছানায় জয়কে উপুড়
করে শুইয়ে দিয়ে ওর
পাছা টিপতে থাকেন।চিৎ করে দুধ
দুটো দলাইমলাই করেন বিবি।জয়
মিনি বেড়ালের মত
গায়ে গা ঘষতে থাকে।
জয়কে কোলে তুলে নিজের
ঠাটানো বাড়ার উপর পিছন
করে বসিয়ে গাঁড়ের ফুটোয় বাড়া সেট
করে চাপ দিতে পুচপুচ করে ঢুকতে থাকে।জয়
আঃ-আঃ করে বাঁধা দেয়।
কি হল লাগছে? বিবি জিজ্ঞেস
করে।
তোমার বাড়া বেশ মোটা,একটু
ক্রীম দিয়ে নেও।
জয় উঠে ড্রেসিং টেবিল
থেকে একটা টিউব নিয়ে এল।ভাল
করে বাড়াটায় মাখিয়ে একদলা নিজের
গাঁড়ে লাগাল।তারপর পিছন
ফিরে পাছা ফাক করে বাড়ার উপর
চেপে বসে।ফু-উ-উ-চ করে ঢুকে গেল জয়ের
শরীরে।বিবি হাত দিয়ে জয়ের
বাড়া খেচতে শুরু করে।কোমর
নাড়িয়ে জয়ের শরীরে বাড়াটা ঢোকায়
আর বের করে।জয়
তিড়িং তিড়িং করে লাফাচ্ছে বিবির
কোলে।
ওরা বুঝতে পারেনি নাইটল্যাচ
খুলে জয়ের পিসি ফিরে এসেছেন অফিস
থেকে।ভেজানো দরজার ফাক দিয়ে
বিস্ফারিত চোখ মেলে দেখছেন ভাই-
পোর চোদন-কাণ্ড।ভাই-পোর গে-স্বভাব
সম্পর্কে আগে দু-এক কথা কানে এলেও আজ
চাক্ষুষ করলেন।কিন্তু এই
লোকটা কে,কোথা থেকে জোটালো?
দেখে ভদ্র বলে মনে হচ্ছে।
হ্যাঙ্গারে ঝোলানো ব্যাগ
হাতড়ে বুঝতে পারে ভদ্রলোক
অধ্যাপনা করেন।
জয় কাৎরে ওঠে,ফিচিক-ফিচিক
করে বীর্যপাত করে।লোকটি জয়কে চিৎ
করে ক্ষিপ্ত হয়ে কোমর
নাড়িয়ে ঠাপাতে লাগল।দু-হাতে জয়ের
দুধ খামচে ধরেছে।এক সময়
গোঙ্গাতে গোঙ্গাতে লোকটি জয়ের উপর
নেতিয়ে পড়ে। গাঁড়ের ভিতর
থেকে বাড়াটা টেনে বের করতে পিসির
চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।এই মাস্তুল
ঢূকিয়েছিল জয়ের গাঁড়ে? বেশ নধর পুরুষ্ট
বাড়া,মুণ্ডিটা বর্তুলাকার
তেলেকুচা ফলের মত লাল টুক টুক করছে।
পিসি দরজায় শব্দ করেন,যেন এইমাত্র
এলেন।
মনে হচ্ছে পিসি এসেছে? জয় বলে।
পরস্পর মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে ওরা দ্রুত
পোষাক পরে নেয়।বিবির বাড়া এখনও শক্ত
হয়ে আছে।
পিসি তুমি কখন এলে? নিরীহ গলায়
জয় জিজ্ঞেস করে।
এই এলাম।ওনাকে ত চিনলাম না?
বিবি ইনি আমার
পিসি সোমা সেনগুপ্ত।আর
পিসি উনি অধ্যাপক বিলাস বসু।
নমস্কার।বিবি বলেন।
প্রতি নমস্কার
করে বিবিকে বসতে বলেন সোমা।
না, বসব না।অনেক্ষন এসেছি।
একটু বসুন।আমি চা করছি।সোমা বলেন।
অগত্যা বিলাসকে বসতে হয়।
মনে মনে বোঝার চেষ্টা করেন
ভদ্রমহিলা কিছু দেখেন নি তো? ভাগ্যিস
সময়মত ডিসচার্জ হয়ে গেছে।সোমা চেঞ্জ
করে ফিরে আসেন,পরনে থ্রি-কোয়ার্টার
প্যাণ্ট এবং ছিটের শার্ট।
উচানো গাঁড়,মেয়েদের গাঁড় এমনিতে একটু
ভারি হয়।শ্যামলা রঙ, কাধ পর্যন্ত চুল।মৃদু
হেসে কিচেনে চলে গেলেন।
কেমন লাগল পিসিকে?
হেসে জিজ্ঞেস করে জয়।
তোমার পিসি কিছু
বুঝতে পারেনি তো?
না-না বিবি তুমি চিন্তা কোর
না।পিসি খুব মাই ডিয়ার দেখবে।
তোমার পিসির ডিভোর্স
হয়েছে কতদিন?
বছর দুই মত।
কি নিয়ে গোলমাল জানো?
গোলমাল কিছু না।হি কুডণ্ট
স্যাটিসফাই মি।
সোমা ঢুকতে ঢুকতে বলেন,আই কিক হিম আউট।
বিলাস অপ্রস্তুত বোধ করে।
ভদ্রমহিলা সত্যিই খুব স্মার্ট।
লজ্জা পেয়ে বলেন,আই এ্যাম
স্যরি মানে....।
আই ডিডণ্ট মাইণ্ড,আই লাইক ফ্রাঙ্ক টক।
জয়কে কি করে চিনলেন?নিন চা খান।
সোমা চায়ের কাপ এগিয়ে দেন।
আমার এক কলিগ
থাকে পানশিলা,ট্রেনে আলাপ।জয়
আমাকে খুব হেল্প করেছে।
কলিগ? কি নাম?
রঞ্জনা পাল।আপনি চিনবেন না।
ওকে বলবেন
সোমাকে চেনে কিনা?মুচকি হাসেন
সোমা।
আপনি চেনেন?
আমরা মন্মথনাথে একসঙ্গে পড়তাম।
জানি না কেন আজও বিয়ে করল না।অবশ্য
বিয়ে করেনি ভালই করেছে।
বিয়ে করা কি খারাপ?বিলাস
কৌতুহল প্রকাশ করে।
না খারাপ বলছি না...এক মুহুর্ত
ভেবে বলেন,ঝুকির ব্যাপার।
যদি ছাঁচে ছাঁচে মিলে যায় ভাল না-
হলে যন্ত্রনাবহ সারা জীবন।
আপনি বিয়ে করেছেন?
কি জবাব দেবে ভাবতে থাকে।
সহজভাবে কিভাবে বলা যায়।
অসুবিধে থাকলে বলতে হবে না।জয়
তুমি একটু পাশের ঘরে গিয়ে বোসো।
ভদ্রমহিলা সম্ভবত বিলাসের
অবস্থা অনুমান করে থাকবেন।বিলাস
বলেন,কিছু মনে করবেন না।আমি সব
ব্যাপারে একটু উদার,এমন কি সম্পর্কের
ক্ষেত্রেও।বিয়ে করেছিলাম কিন্তু ও
এ্যাডজাস্ট করতে পারল না।
আপনাকে বলেছিলাম
ছাঁচে না পড়লে সব গোলমাল।যদি কিছু
মনে না করেন জিজ্ঞেস করি,সম্পর্কের
ব্যাপারে কি বলছিলেন?
আমি বিশ্বাস করি জাত-পাত বয়স
লিঙ্গ সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে কোন
বাঁধা হতে পারে না।
সমলিঙ্গেও সম্পর্ক হতে পারে?
অবশ্যই পারে যদি পরস্পর স্বস্তি বোধ
করে।বা শান্তিও বলতে পারেন।
পরস্পর বিয়েও করতে পারে?
বিয়েকে আমি বড় ব্যাপার
মনে করিনা।সম্পর্কে আশঙ্কার কোন স্থান
নেই।আশঙ্কা থেকেই
আসে বিয়ে করে বেঁধে ফেলার প্রবনতা।
যেভাবে কুত্তাকে বেঁধে রাখে তার প্রভু।
যাতে চিরকাল বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য
হয়।
সন্ধ্যে হয়ে এল।
বিলাসকে বাড়ি ফিরতে হবে।সেই
সকালে বেরিয়েছে।সোমার
সঙ্গে কথা বলে খারাপ লাগল না। খুব
সুন্দরি না-হলেও চেহারায় একটা আকর্ষন
আছে।সোমা মনে মনে বিলাসের
কথাগুলো ভাবেন।
কথাগুলো কি আন্তরিক,না সাজিয়ে বলছে?
একসময় জয়কে ডাকেন,কিছু খাবার আনার
ফরমাস দেবার জন্য।বিলাস
আপত্তি করেন,না মিস সেনগুপ্ত
মানে....আমি উঠি আর একদিন হবে।
আপনি আমাকে সোমা এবং তুমি বলতে
পারেন।
আর তুমি আপনি-আপনি করবে?
না, আমি তোমাকে বিলু
বলবো,আপত্তি আছে?
তুমি খুশি হলেই আমি খুশি।আজ
আসি সোমা?
সোমার ঠোটে ইঙ্গিতবহ হাসি।
বিলাস বসু সিড়ি বেয়ে নীচে নামেন।
উপরের দিকে তাকিয়ে দেখেন
ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সোমা হাত
নাড়ছে।