Monday, July 7, 2014

একটি জীবনের বিচিত্র অংশ ॥

শৈ শব
থেকে আমি মাকে নকল করতাম। মার মত
বসে পেচ্ছাপ করতে পছন্দ।মার সঙ্গে বাথ
রুমে গিয়ে বসে পেচ্ছাপ করতাম।মার মত অত
শব্দ হতনা আমার। মাকে সবাই
বলতো বিভা-দি।পাড়ার
প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা আমার মা।
আমিও মার সঙ্গে স্কুলে যেতাম।প্রথমদিন

একটা মজার ব্যাপার হয়েছিল।
আমাকে দেখে হেডস্যর মাকে বললেন,
বিভাদি এটি কে?আপনার মেয়ে বুঝি?
মা হেসে কুটিকুটি,অন্যান্য দিদিমনিরাও
যোগ দিল মার সঙ্গে।হেডস্যর বিব্রত।
গৌরী-দি বলল, মাষ্টার মশায়,ও বিভা-
দির ছেলে।হেডস্যর
নিজেকে সামলে নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস
করলেন, নাম কি? আমি আদ-আদ গলায় জবাব
দিলাম,চন্ননাত গোশ।হেডস্যর
আমাকে একটা চক  উপহার দিলেন।
স্কুলের সর্বত্র আমার অবাধ গতি।
দিদিমনিরা আদর করে গাল টিপে দিত।
কোন ছেলে আমার গায়ে হাত
দিলে আমি লজ্জায় সঙ্কুচিত বোধ করতাম।
পাঁচ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হলাম।বাথ
রুমে বসে পেচ্ছাপ করার অভ্যাস
ছাড়তে পারিনি।নর্দমায় কেউ
দাঁড়িয়ে পেচ্ছাপ করছে দেখলে আমার
ভীষণ লজ্জা করত,আমি তাকাতে পারতাম
না।
তারপর হাইস্কুলে ঢুকলাম।
অঙ্কে কাঁচা হলেও বরাবর প্রথম দশজনের
মধ্যে থেকেছি।যেবার
নাইনে উঠলাম,মদনের সঙ্গে আলাপ।মদন
আমার চেয়ে বছর কযেকের বড়, তাগড়াই
ডাকাবুকো চেহারা। নাইনে ফেল
করে আমার সহপাঠি।
ছেলেরা আমাকে লেডিস বলে ক্ষেপাত।
আমার খুব খারাপ লাগত তা নয়,আমি আমল
দিতাম না। বিভা-দির ছেলে তায়
মেধাবী,সকলে আমাকে ভালবাসতো।
একদিন একটা ছেলে আমাকে লেডিস বলায়
মদন তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে।এক ঘুষিতে নাক
ফেটে গল গল করে রক্ত বেরোতে লাগল।
হেডস্যরের কানে যেতে তিনি মদনের
পিঠে বেত ভেঙ্গে বললেন, জানোয়ার
ছেলে ! স্কুলে মস্তানি করতে আসো।
মদন কোন প্রতিবাদ করে না,মুখ
বুজে সব সহ্য করে।আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল।
শেষে হাতে থান ইট দিয়ে সারাদিন
করিডোরে দাড় করিয়ে রেখেছিল।
আমি লুকিয়ে কেঁদেছিলাম।মদনের
সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা আরো বেড়ে গেল।
ক্লাসে আমরা পাশাপাশি বসতাম।আমার
হাত নিয়ে মদন খেলা করত,আঙ্গুলে আঙ্গুল
ঢুকিয়ে,আঙ্গুল ফুটিয়ে দিত।কখনো গা-
টিপে দিত। কেউ দেখলেও কিছু বলতে সাহস
পেত না,সবাই মদনকে ভয় পেত।একবার মদন
বলল ,চন্দা তোর মাইগুলো বেশ বড়।
খুব লজ্জা লাগল,জিজ্ঞেস করলাম,
তোমার খারাপ লাগে?
--না রে,টিপতে খুব আরাম লাগছিল।
--আমারও।মৃদু স্বরে বললাম।
ঘণ্টা বাজতে হৈ-হৈ করে সবাই ছুটল
বাড়ি মুখো। গম গম স্কুলে মুহূর্তে নেমে এল
নীরবতা।মদন বলল ,তুই একটু
দাঁড়া চন্দা,আমি বাথরুম করে আসি।
হাতে স্কুল ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে মদন
চলে যায়।যখন টিপছিল ভাল লাগছিল,এখন
বুকটা জ্বালা করছে।এ কেমন সুখ?
একে একে দরজা পাখা বন্ধ করে বাহাদুর
চলে গেল।মদন কোথায় গেল,এত
দেরী হচ্ছে? একটু
এগিয়ে দেখতে গিয়ে আমার দম বন্ধ হবার
জোগাড়। মাথাটা পিছন
দিকে হেলিয়ে বা-হাত
কোমরে রেখে ডান
হাতটা জোরে জোরে নাড়ছে।মদনের
কি হল?
--এই কি হযেছে ?
ঘুরে দাঁড়িয়ে গোঙ্গাতে গোঙ্গাতে মদন
বলল,বাড়া খেচছি।
আমার কান লাল হয়ে গেল।এসব
কথা তো অসভ্য লোকেরা বলে।মদনের মুঠির
মধ্যে বিঘৎ খানেক
লম্বা কালো ধোন,মুণ্ডিটা পাঁঠার
মেটের মত রং।এমন করছে যেন ধোনের
চামড়াটা ছিড়ে ফেলবে।দেখলাম
পেচ্ছাপের ফুটো দিয়ে সাদা কফের মত
আঠালো পদার্থ ছিটকে বেরোতে লাগল।
মদন কাহিল হযে পড়ল।বুঝতে পারলাম কেন
সবাই ওকে খারাপ ছেলে বলে।
প্যাণ্টের চেণ টেনে মদন আরামের
শ্বাস ছেড়ে বলল, ওঃ! এতক্ষনে শান্তি!
তোর বুক টিপে হেভি হিট উঠে গেছিল।
আমি কোন উচ্চবাচ্য করলাম না।
--আচ্ছা চাদু, তুই বাড়া খেছিস না?
--আবার অসভ্য কথা? মদন
ফ্যালফেলিয়ে আমাকে দেখে।
--অসভ্য কথা কিরে?
--ঐ সব ছোটলোকেরা বলে।তুমি ও রকম
বলবে না।
--সত্যি চাদু তুই
একেবারে ছেলে মানুষ! চলতি বাংলায়
বাড়া গুদ চোদাচুদি কোন খারাপ
কথা নয়।প্রতিটি জীব চোদাচুদি করে।স্যর
বলেন শুনিস নি? মৌমাছির
পায়ে পায়ে পরাগ-সংযোগ হলে গর্ভ
সঞ্চার হয়। তেমনি বীর্য গুদের
মধ্যে পড়ে পেট হয়। দেখিস নি গৌরী -
দি কেমন পেট ফুলিয়ে স্কুলে আসতো?
মেয়েদের প্রতি মাসে ডিম ফেটে রক্ত
বের হয় তাকে মাসিক বলে,
মেয়েরা বলে শরীর খারাপ।মনে পড়ল
মা একদিন বাবাকে বলছিল,শরীর খারাপ।
গভীর
বিস্মযে মদনকে দেখছিলাম,কি গভীর
জ্ঞান! তুলনায় কিছুই জানি না।ওর
প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেল। কেন যে সবাই
ওকে দুরছাই করে বুঝিনা। হঠাৎ প্যাণ্টের
ভিতর হাত ঢুকিয়ে আমার নুনুটা বের
করে ছাল ছাড়াতে লাল
মুণ্ডিটা বেরিয়ে এল।মদন নিজের
ঠোটে লিপষ্টিকের মত ঘষতে লাগল।
--এই ছাড়ো ছাড়ো, কেউ
দেখে ফেলবে? আমি বাধা দিলাম।
--তোর বাড়াটা মেয়েদের
লিপষ্টিকের মত ছোট।
লজ্জায় আমার কান ঝা-ঝা ক রে উঠল।
ইচ্ছে করছিল মদনের ঐটা মুখের
মধ্যে নিয়ে চুষি।ওর প্রতি বিরূপ ভাবটা আর
নেই।
বেশ কাটছিল দিনগুলো। একদিন ছাত্র-
ধর্মঘটের জন্য তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে গেল
স্কুল।
বাড়ি ফিরছি,আগে জানলে স্কুলে আসতাম
না।
মদন বলল, এক জায়গা যাবি?
--কোথায়?
--চল না,বেশ মজা হবে।
--কোথায় বল না?
--দোলনা পার্ক! একদম ফাকা।
--দুপুরে ঢুকতে দেবে?
--কে দেখবে,চল তো।
রেলিংয়ের
ভাঙ্গা জায়গা দিয়ে আমরা ঢুকলাম।নির্জন
পার্ক,গাছের ছায়া ঢাকা বেঞ্চ গুলোয়
ভবঘুরেরা ঘুমোচ্ছে নিঃসাড়ে।মদন
পাঁচিলে উঠে পা দোলাচ্ছে।আমি ওর
হাটু ধরে নীচে দাঁড়িয়ে গল্প করছি।
নিরিবিলি পেয়ে খুব ইচ্ছে করছিল ওর
ঐটা ধরতে, আবার লজ্জা করছিল।একটা বসার
জায়গা নেই।
--চাদু,তোকে আর কেউ ক্ষেপায় না তো?
--সামনে বলার সাহস নেই,আড়ালে-
আবডালে কি বলে না ?
--কি বলে? মদনের পা-
দোলানি থেমে যায়।
--বলে মদনার মাল।ফিক করে হাসলাম।
--কোন শাল-আ বলে? কি নাম বলতো?
--না,তুমি কিছু বলবেনা।সেদিন হেডস্যর
তোমাকে মস্তান বললেন আমার খুব খারাপ
লেগেছে।আমার কান্না পাচ্ছিল জানো?
মদন অবাক চোখে আমাকে দেখে। লজ্জায়
মাথা নীচু করে থাকি আমি।
--তুই আমাকে খুব ভালবাসিস, তাই নারে?
--জানি না যাও।
পাঁচিল থেকে লাফ
দিয়ে নেমে আমাকে জড়িয়ে ধরে মদন
বলে, আমিও তোকে খুব-খুব
ভালবাসিরে সোনা।
মদনের শক্ত ঐটা আমার
তলপেটে খোচা মারে, বাবাঃ! কি শক্ত!
--তোমারটা শক্ত হয়ে গেছে।
--ভালবাসার কথা শুনলে ঐ রকম হয়।
আমি হাত দিয়ে চেপে ধরলাম।ইটের মত
শক্ত ,বেকালে ভেঙ্গে যাবে মনে হয়। মদন
আমার পাছা টিপতে থাকে।হাটু
গেড়ে বসে চেন খুলে বাড়াটা বের
করে চুষতে শুরু করি।নতুন অভিজ্ঞতা,
রক্তে যেন সুখের বান।
--কি রে,ভাল লাগছে না?
--হুম। বাড়া মুখ থেকে বের
না করে বললাম।
হঠাৎ মাথাটা সরিয়ে দিয়ে মদন
বাড়াটা ঢুকিয়ে নেয়।কি ব্যাপার
বোঝার আগেই কানে এল, কেয়া হোতা?
তাকিয়ে দেখি বিহারী দারোয়ান
যমদূতের মত দাঁড়িয়ে আছে।
--কুছ নেহি ,আমরা গল্প করতা হায়-। মদন
জবাব দেয়।
  --কিউ ঘুষা?
দো পহরমে ঘুষনা মানা হায়।
কাঁহাসে ঘুষা ?নিকালো---নিকালো--
হারামি কাহে কা--
--যাতা হায় --যাতা হায়,চল চাদু
বিকেলে আসবো।
অতৃপ্ত মন নিয়ে আমরা পার্ক
থেকে বেরিয়ে এলাম।ভাগ্যটাই খারাপ।
বাড়া চোষায় এত আনন্দ আগে জানা ছিল
না।কোন স্বাদ নেই রস নেই অথচ
অনির্বচনীয় এক অনুভূতি শরীরের
কোষে কোষে সুখের প্লাবণ এনে দেয়।
দারোয়ানের প্রতি রাগে গা-জ্বলছিল।এত
লোক শুয়ে আছে, বেছে বেছে আমাদের উপর
নজর।না পাওয়ার বেদনা এত তীব্র
ধারনা ছিল না। আফশোস
বুকে নিয়ে সেদিন ফিরতে হল।
মদনের প্রকৃতি ছিল হিংস্র,স্কুলের সবাই
ওকে ভয় পেত।কিন্তু আমার কাছে নিরীহ
বেড়াল ছানার মত।ওকে বোঝাতাম,
তোমাকে সবাই এড়িয়ে চলে,তোমার
খারাপ লাগে না? মাসীমা কত
আশা নিয়ে কত কষ্ট
করে তোমাকে পড়াচ্ছে।তোমার
কি ইচ্ছে করে না বড় হয়ে মাসীমার
মুখে হাসি ফোটাতে? আজ
যারা তোমাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য
করছে,পারোনা কি মানুষের মত মানুষ
হয়ে তাদের মুখের মত জবাব দিতে?
মদনের মুখে বিষাদের
হাসি খেলা করে। উদাসীন
দৃষ্টি চলে যায় দিগন্ত পেরিয়ে অনেক
অনেক দূর।মুখে কোনো কথা নেই।এক সময়
দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।আমার হাত
ধরে থাকা মুঠি শিথিল হয়।
-- কিছু বলছো না যে? আমি জিজ্ঞেস
করি।
  --কি বলবো? ভগবান যার প্রতি বিরূপ
লোকের বিরূপতায় তার কি এসে যায়।
দার্শনিকের মত আওড়ায় মদন।
--এসব কথা বলে দায়
এড়াতে পারোনা তুমি।
--চাইলেই কি সব এড়ানো যায়? আমার
মা-র কি অপরাধ বলতে পারিস?
ছোটবেলায় বাবাকে হারালাম।
বীমা কোম্পানীতে চাকরি করত।একমাত্র
রোজগেরে ছিলেন সংসারে।
লেখাপড়া জানলে মা-র হয়তো বাবার
অফিসে কোন চাকরি জুটে যেত।
একা মহিলা কি করবে,কার কাছে যাবে,
চোখের সামনে অন্ধকার। কোম্পানীর
একজন এজেণ্ট রণো-কাকু প্রভিডেণ্ট ফাণ্ড
গ্রাচুইটি ইত্যাদি আদায় করে দিতে খুব
সাহায্য করেছিল।সন্তানের মুখ
চেয়ে অসহায় ঘরের বউ পথে নামল
পলিসি করতে।অবশ্য ক্লায়েণ্ট ধরে দিত
রণো-কাকু। বিধবা মহিলার
প্রতি কি করুণা! করুণা নয় ঋণ।চুদিয়ে সেই
ঋণ শোধ করতে হয়েছে মা-কে।একদিন
রণো-কাকু
বাড়িতে এসে আমাকে টাকা দিয়ে বলল,
মদন যাতো দোকান থেকে তিন প্লেট
বিরিয়ানি নিয়ে আয়।
বিরিয়ানি নিয়ে ফিরে দেখি দরজা
বন্ধ।ফুটো দিয়ে যা দেখলাম আমার দম বন্ধ
হবার উপক্রম। চোদার সময় মানুষ এত হিংস্র
হয় না দেখলে বিশ্বাস করতাম না।মা চিৎ
হয়ে কাৎরাচ্ছে আর উদোম রণো-কাকু মা-র
বুকে উঠে উদ্দাম বেগে মা-
কে ফালাফালা করছে।
হাতে ধরা বিরিয়ানির প্যাকেট
পাষানের মত দাঁড়িয়ে ছিলাম কতক্ষন
জানি না।দরজা খোলার
শব্দে তাকিয়ে দেখলাম আমার মা!
চোখে মুখে যন্ত্রণার চিনহ মাত্র
নেই,বরং তৃপ্তির প্রলেপ।
এক প্লেট আমাকে দিয়ে দু-প্লেট
বিরিয়ানি নিয়ে মা রণো-কাকুর
ঘরে চলে গেল।
গলাদিয়ে বিরিয়ানি নামছিল
না,উঠে ঘরের দরজায় কান পাতলাম।
মা জিজ্ঞেস করল,রণো শেখ সাহেব
কি মুসলমান?
মাংসের
টুকরো মুখে দিতে গিয়ে একটু
থেমে বলে রণো-কাকু, হ্যাঁ, পাঠান।
তাতে তোমার কি? পাঁচ লাখ টাকার
পলিসি করবে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে।
--না সে জন্য কিছু না।
শুনেছি ওদেরটা খুব বড় হয়। রণো-কাকু হো-
হো করে হেসে উঠল, দ্যাখো সোনা বড়
দাও মারতে একটু বড় তো নিতে হবে ।কষ্ট
করলে তবে না কেষ্ট-হা-হা-হা-
ইচ্ছে করছিল ব্যাটাকে খুন করি শুধু মা-
র মুখ চেয়ে নিজেকে অতি কষ্টে দমন
করেছি।নানা ধর্ম নানা জাতের জল
পড়ে মা-র গুদ গঙ্গা হয়ে গেল।
মনটা ভারাক্রান্ত।পৃথিবীটা নিস্তব্ধ
মনে হল।মদনের প্রকৃতি হিংস্র সবাই ওকে ভয়
করে।এই হিংস্রতার উৎস কোথায়?
আমরা বাইরেটা দেখে বিচার করি।
কেবল কাজ দেখি,কারণ জানার ধৈর্য
বা অবসর আমাদের নেই।
--কিরে কি ভাবছিস? সেণ্টু হয়ে গেলি?
মদন গুমোট ভাবটা কাটাতে চেষ্টা করে।
আচমকা আমারটা টিপে দিয়ে বলে হাসতে
হাসতে বলে, কি পুচকে মাইরি!
ফোটালে মনে হয় মেয়েদের
রাঙ্গা লিপ্সটিক।
আমি হেসে বলি, আহা! সবার তোমার মত
গদা হবে নাকি?
--একদিন এই গদা দিয়ে তোকে আদর করব।
--ব্যাথা লাগবে নাতো? শঙ্কা প্রকাশ
করি।
  --পাগল! তুই ব্যথা পেলে আমি সহ্য
করতে পারবো? দেখিস কি যত্ন করে চুদি।
মদনের সাধ পুরণ হয়নি।আবার ফেল
করায় স্কুল থেকে ওকে টি.সি.
দিয়ে দেওয়া হয়।তারপর কোথায়
হারিয়ে গেল।রাতে শুয়ে শুয়ে ওর
কথা ভাবতাম।সময় কারো কথা ভাবে না।
নানা ঝামেলা, পরীক্ষার চাপ সময় হু-হু
করে কেটে গেল।ভালভাবে মাধ্যমিক পাস
করে উচ্চ-মাধ্যমিকে ভর্তি হলাম।তারপর
তনু-দার কোচিং।তনু-দা স্কুল-টিচার নয়
অফিসে কাজ করেন।খুব নাম,দূর দূর থেকে সব
পড়তে আসতো।বছর পঞ্চাশ বয়স হবে তনু-দা।
বৌদি বেতো রুগী ভাল
করে হাটা চলা করতে পারেনা।ভিতরের
দিকের দরজা দিয়ে বাড়ির ভিতর
যাওয়া যায়।প্রতি শনি-রবিবার
কোচিং। সেদিন রবিবার দীনু
আমাকে ধাক্কা দিয়ে বলল,সরে বস
না,গায়ের উপর এসে পড়ছিস কেন?
ব্যাপারটা তনু-দার
নজরে পড়ে,উনি আমাকে ডেকে পাশে
বসালেন।তারপর আমার কাধে হাত
রেখে পড়াতে শুরু করলেন।কোচিং শেষ
হলে সবাই চলে গেল।তনু-দা আমাকে
জিজ্ঞেস করলেন,
ঘেষাঘেষী করে বসতে ভাল লাগে?
--আমি ইচ্ছে করে-----।কথা শেষ
করিনি ,তনু-দা আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু
খেলেন।মুখে জর্দার গন্ধ।আমি কিছু বললাম
না।তনু-দা আমার হাতটা ধরে নিজের
বাড়ার উপর রাখলেন।
আমি মুঠো করে ধরলাম।বড় কিন্তু নরম।আমার
গালে গাল ঘষে বললেন,এখন যাও,কাল
দুপুরে এসো।
  --কাল কোচিং?
--স্পেশাল কোচিং।চোখ
টিপে হাসলেন।
বাড়ি ফিরে খাওয়া-
দাওয়া করে শুয়ে পড়লাম।মনটা ফুরফুর করছে।
স্পেশাল কোচিং শব্দটা কানে সঙ্গীতের
মত বাজছে।ঘুম থেকে উঠে স্নান করলাম
সাবান মেখে।মদনের ভাষায়
লিপ্সটিকের মত নুনুটায় সাবান ঘষলাম।
গোড়ায় কয়েকগাছা লালচে রেশমী বাল।
সেভ করলে নাকি ঘন হয়।বই
খাতা নিয়ে বেরিয়ে এদিক-ওদিক
ঘুরে একটা নাগাদ তনু-দার বাড়ি।তনু-
দা দরজা খুলল,লুঙ্গি পরা খালি গা।
ভুড়িটা লুঙ্গির উপর দিয়ে উপচে পড়ছে।
দরজা বন্ধ করে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন।তনু-
দার মাংসল বুকে আমার মুখ।আমাকে টেবিল
ধরে দাড়
করিয়ে,প্যাণ্টটা নামিয়ে পাছা টিপতে
টিপতে বললেন,তোর পাছাটা মাগীদের
মত নরম।
মজা করে বললাম,বৌদির মত?
--ও মাগীর পাছায় কড়া পড়ে গেছে।তনু-
দার কথা শুনে আমি হেসে ফেললাম।
নিজের
বাড়াটা হাতে ধরে ঝাকাতে লাগলেন,
একটু চামড়াটা খোলা বন্ধ
করতে করতে বাড়াটা সোজা হল। বা-
হাতে পাছাটা ফাক করে ডান
হাতে বাড়াটা ধরে ঢুকিয়ে কোমর
নাড়তে লাগলেন।
আমি বললাম,কি করছেন,ঢোকেনি।
তনু-
দা ঘেমে গেছে বলল,ঢুকছে না কেন
বলতো? দাড়া একটু ক্রীম নিয়ে আসি।
ভিতরে চলে গেলেন।একটু
পরে ফিরে এসে পাছায় ভেসলিন
লাগালেন ফুটোর মধ্যে আঙ্গুল
দিয়ে ভেসলিন ঢোকালেন।বেশ আরাম
হচ্ছিল।নিজের বাড়াতেও ভেসলিন
লাগালেন।তনু-
দাকে মনে করিয়ে দিলাম,দরজা বন্ধ করেন
নি।আমার
পিঠে চড়ে বাড়া ঢুকিয়ে কুত্তার মত
পাছা নাড়া শুরু করলেন।
--তোর বউদি এখন কুম্ভ কর্ণ নিদ্রা দিচ্ছে।
তুই পাছাটা ফাক কর।
--ঢোকেনি,কোথায় ঠাপাচ্ছেন?
--ঢুকছে না কেন বলতো?
মনে মনে বলি শালা ধ্বজভঙ্গ,মুখে বলি,না
ঢুকলে আপনার আঙ্গুল গুলো ঢুকিয়ে দিন।
দরজায় শব্দ
হতে তাকিয়ে দেখি দরজা ধরে দাঁড়িয়ে
বেতো রুগীটা। তনু-দা গরু চোরের মত
ফ্যাল ফ্যাল ক রে তাকিয়ে থাকে।
আমি তাড়াতাড়ি প্যাণ্ট উঠীয়ে চেন
টেণে দাঁড়িয়ে আছি।কি করব ভাবছি।
--তোমার না শরীর খারাপ? অফিস
গেলে না।ছিঃ-ছিঃ। এক রাশ
ঘৃণা ছিটকে এল।
হঠাৎ তনু-দা থপ করে বসে বৌদির
পা জড়িয়ে ধরে বলল,এবারের মত মাপ
করে দাও ,লক্ষিটি।ভুল হয়ে গেছে আর
হবেনা। মনে মনে ভাবি ভুল আমার
হয়েছে শালা ধ্বজভঙ্গ।পাছায় ভেসলিন
চটচট করছে।
--এই এখানে এইসব করতে আসো? জানোয়ার
ছেলে,বাপের বয়সী লোকের সঙ্গে---
লজ্জা করেনা? ফের এ
মুখো হলে ঝাঁটা মেরে---। বুঝতে পারলাম
তনু-দাকে ক্ষমা করে এবার
আমাকে নিয়ে পড়লেন।বই
গুছিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
হাটতে অস্বস্তি হচ্ছে, পাছায় ভেসলিন
মাখামাখি।মদনের কথা মনে পড়ল, কি সুন্দর
নধর বাড়া! সারা শরীর ঘিরে অতৃপ্তির
প্রলেপ।
সময় থেমে থাকে না।
দেখতে দেখতে কেটে গেল দুটো বছর।
দর্শনে অনার্স নিয়ে পড়ছি।
মাঝে মাঝে সাইবার কাফেতে নেট
ঘাটাঘাটি করি।খুব অস্বস্তি হলে ডট পেন
ইত্যাদি ঢুকিয়ে উত্তেজনা প্রশমিত
করতে হয়।পাবলিক ল্যাট্রিনে ঢুকলে কেউ
কেউ ঘুরে দাঁড়িয়ে কুৎসিত পুরুষাঙ্গ প্রদর্শন
করে। এরা গে নয়, বিকার গ্রস্থ।আবার
ইচ্ছে হলে রোমি-দির নাচের স্কুলে সময়
কাটাই,মেয়েদের নাচ শেখা দেখি।
রোমি-দি রবীন্দ্র
ভারতী থেকে নাচে মাষ্টার করেছে,
সাধারণ মঞ্চেও তার খ্যাতি আছে।ভাল
নাম বললে অনেকে চিনবে। এক সময়ের ব্লাক
বেল্ট।রোমি-দির
পীড়াপিড়িতে আমি একবার
চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যে অর্জুনের
ভূমিকা করেছিলাম।রোমি-
দি চিত্রাঙ্গদা।
তাই নিয়ে মা রোমি-
দিকে কথা শুনিয়েছিল,তুমি কি আমার
ছেলেটাকে মেয়ে বানিয়ে ছাড়বে?
রোমি-দি দুঃখ পেয়েছিল কিন্তু কোন
প্রতিবাদ করেনি।একবার আমাকে জিজ্ঞেস
করেছিল, চাদু , তুই কি রকম.
মেয়ে বিয়ে করতে চাস?
আমি অবাক হলাম,হঠাৎ বিয়ের কথা কেন?
রোমি-দিকে তো আমার
কথা বলতে পারিনা।এড়িয়ে যাবার জন্য
বলি, সে যখন বিয়ে করব তখন ভাববো।
--তুই যাকে বিয়ে করবি সে খুব সুখী হবে।
--হ্যাঁ ,তুমি সব জানো।
--আজকাল মেয়েরা ছেলেদের
চেয়ে ছোট হতে হবে এসব কেউ মানে না।
--আমিও মানি না।
রোমি-দি আমাকে দেখে,দৃষ্টিতে আলোর
আভাস।তারপর বলে, খুব মন
রাখা কথা বলতে শিখেছিস।
--বা-রে,আমি কি করে জানবো তোমার
মনে কি আছে?
রোমি-দি অবাক হয়ে আমার
দিকে তাকিয়ে থাকে।কি যেন বোঝার
চেষ্টা করে।তারপর মনে মনে হাসে।
জিজ্ঞেস করলাম,হাসছো কেন?
--একটা কথা ভবছি।
--কি কথা ?
--তুই নাচ শিখিস নি অথচ এত সুন্দর
ভঙ্গী চমৎকার তাল লয় বোধ----
কি বলবো অনেক পেশাদার শিল্পীর
সাথে নেচেছি কিন্তু তোর
সাথে নেচে আলাদা সুখ পাই।
--সে তুমি আমায় ভালবাসো বলে।
--তুই কি তা বুঝিস? এ কথার কোনো উত্তর
হয় না,কিছু বললাম না। মনে হল রোমি-
দির চোখের কোল চক চক করছে।আমার ভুলও
হতে পারে।
আমাদের শো হয়েছিল কবি-কেন্দ্র
মঞ্চে। শোয়ের দিন সকাল সকাল
পৌছে গেলাম,সন্ধ্যে হলে লোকজন
চলে আসবে।তার
আগে প্রস্তুতি সেরে ফেলা দরকার।বাথ রুম
করে বেরিয়ে ভুত দেখার মত চমকে উঠলাম,
একী মদন না? না আমার ভুল হয়নি।
একী চেহারা হয়েছে? জিজ্ঞেস করি,
তুমি এখানে?
--আমি এখানে কাজ করি।দর্শকদের
সিটে বসাই।
--তুমি--? দেখলাম হাতে টর্চ।
--রণো-কাকু ঢুকিয়ে দিয়েছে।
যা বিদ্যে এ ছাড়া আর কি করব বলো?
বল নয় বলো? অনেক বদলে গেছে মদন।
দাড়াতে চাইছিল না,চলে যাবার জন্য উস
খুস করছে।আমারও তাড়া ছিল,এতক্ষন
হয়তো খোজাখুজি শুরু হয়ে গেছে।মে-কাপ
নিতে হবে।মদনকে বললাম, শোয়ের পর
দেখা কোর।অনেক কথা আছে।এখন যাই--।
সন্ধ্যা হতেই প্রেক্ষাগৃহ পূর্ন।
একদিকে আনন্দ আবার অন্য দিকে ভয়।
পর্দা উঠতেই নীরবতা
নেমে এল। রোমি-দি ঢুকল,চমৎকার
মানিয়েছে। স্বল্প আলোয়
চিত্রাঙ্গদাকে  অপূর্ব দেখাচ্ছে। যেমন
ফিগার তেমনি নাচের ভঙ্গী। নাচের সময়
রোমি-দি  অন্য রকম, অন্য জগতের মানুষ।
শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ।
এক ঘোরের মধ্যে দিয়ে সময় কেটে গেল।
পর্দা পড়তেই হাত তালিতে ফেটে পড়ল।
সকলেই খুশি, রোমি-
দি আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল্,'তুমি অতিথি
অতিথি আমার বলো কোন
নামে করি সৎকার।'
বুঝতে পারি রোমি-
দি এখনো আবিষ্ট।সবাই দেখছে ,সঙ্কুচিত
বোধ করছিলাম।আমার চোখ তখন
খুজে বেড়াচ্ছে মদনকে।
তা হলে কি আসবে না?
গাড়িতে সবাই অভিনযের সাফল্য
নিয়ে আলোচণা করছিল।আমার মন তখন
হাটতে হাটত চলে গেছে কৈশোরের স্কুল
জীবনের সীমানায়।মদন হারিয়ে গেল
ঘটনা বহুল অতীতের ভীড়ে।
সন্ধ্যা বেলা নেট
ঘাটাঘাটি করি সময় কাটাবার জন্য।
নিজেকে নিয়ে যখন ভাবি খুব অসহায়
দিশাহারা  বোধ করি।
এটাওটা খুলে দেখি উদ্দেশ্যহীন।একদিন
চোখে পড়ল একটি গল্প-- নর দেহে নারী,
লেখক মন্দানিল।চমকে উঠলাম,
এতো আমাদের কথা! লেখক জানল কি করে?
এর সঙ্গে কথা বলতে হবে।মনের
জমে থাকা প্রশ্নের উত্তর এর
কাছে পাওয়া যাবে।কিন্তু
উনি আমাকে পাত্তা দেবেন কেন?
প্রশ্নটা মনে আসতে উৎসাহ নিভে গেল।
মন্দানিলের কথা
"যদি তোর ডাক
শুনে কেউ না আসে..." গান বেজে ওঠে।
আমার মোবাইলের রিংটোন।বইয়ের
ভিতর পেজ মার্ক দিয়ে বন্ধ করলাম বইটা।
ঘড়ির
দিকে তাকিয়ে দেখি কাঁটা এগারোটার
ঘর ছাড়িয়ে চলেছে।এত রাতে আবার কে?
পরিচিত কেউ হলে স্ক্রিনে নাম
ভেসে উঠতো।ফোন ধরে বললাম, মন্দানিল
বলছি।
কোন সাড়া নেই।এত রাতে কে আবার
বাদরামি শুরু করল?ফোন কেটে দেব
কি না ভাবছি,অপর প্রান্ত
হতে শোনা গেল , কাটবেন না প্লীজ।
মনে হচ্ছে মেয়ের গলা! জিজ্ঞেস
করলাম, কে বলছেন? কাকে চাইছেন?
--আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। এত
রাতে বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত।
--ঠিক আছে।আমি অনেক রাত
অবধি জেগে থাকি।আপনি কে?
--আমি নর দেহে নারী।
মনে পড়ল এই নামে একটা গল্প নেট-এ
পোষ্ট করেছি,হয়তো পড়ে থাকবেন।একটু
বিরক্ত নিয়ে বললাম, আপনার
নামটা জানতে পারি কি?
--আমার নাম চন্দ্রনাথ।
আমাকে তুমি বলবেন।
চন্দ্রনাথ? মানে ছেলে? বেশ
মজা লাগল।জিজ্ঞেস করি, তোমার বয়স?
--তেইশ চলছে।
--আমার বয়স জানো?
--আপনি লিখেছেন,লিঙ্গ বয়স জাত  ধর্ম
সম্পর্ক স্থাপনে বাঁধা হতে পারেনা।
--আমার সে রকম বিশ্বাস।গলার স্বর
কথা বলার ভঙ্গী মেয়েলি , বোঝাযায়
পড়াশুনা আছে।
--আপ নার নামটা খটোমটো। কিছু
মনে করলেন না তো? এনামে আমাকে কেউ
ডাকে না,হাসি পেল ওর কথা শুনে। --
তুমি ছোট করে নিতে পারো, 'তুমি'
বললেও আপত্তি নেই।
--ধন্যবাদ। তোমাকে নীল
বলতে পারি কি?
--তোমার নামটাও সরল নয়।
--তুমি আমাকে চাদু বা চন্দ্রা ?----
চন্দ্রা বললে আমি খুব খুশি হব।
--চন্দ্রাই বলব।এখন বলোতো কেন ফোন
করেছ?
ছেলেটি গে আমার ধারণা।গে-দের
প্রতি দুর্বলতা আমার বরাবর,আমি আগ্রহ বোধ
করি।
--জানো নীল আমি তোমার
লেখা পড়ে মুগ্ধ।
--তুমি কি লেখা নিয়ে আলোচনা করার
জন্য এত রাতে ফোন করেছ?
--তুমি রাগ করছো?
আসলে কি জানো লেখাটা পড়া অবধি
তোমার সঙ্গে কথা বলার জন্য আকুল।
লেখাটার মধ্যে নিজেকে সনাক্ত
করতে পারি।মনে হয় তুমি আমার কত চেনা।
--ধন্যবাদ।মনে থাকবে।
--আচ্ছা নীল এসব কি তোমার
কল্পনা প্রসূত ?
--আমার জীবনের অভিজ্ঞতা।
--আমার ও তাই মনে হয়েছে।তোমার
মতামত বেশ সাবলীল যুক্তি নিষ্ঠ।
তুমি যা লিখেছ তা কি অন্তর
থেকে বিশ্বাস করো?
চন্দ্রা পড়াশুনা করা ছেলে,সংবেদনশীল
কথাবার্তায় স্পষ্ট।ফোনে কি উত্তর দেব?
টেলিফোন কোম্পাণীকে অকারন
পয়সা দেওয়া আমার অপছন্দ।ওকে বললাম, দেখ
চন্দ্রা ,তোমার সঙ্গে কথা বলতে আমার
ভাল লাগছে।কিন্তু ফোনে এতসব--।
আমাকে শেষ
করতে না দিয়ে চন্দ্রা বলল,
আমরা কি দেখা করতে পারি?
--আমার বাড়িতে অসুবিধে আছে।
তুমি যদি জায়গা ঠীক করতে পার
যেখানে নিশ্চিন্তে কথা বলতে পারি,
তা হলে অবশ্যই দেখা হতে পারে।
--আমার ও জায়গা নেই
তবে ব্যাবস্থা করতে পারি।
তুমি আসবে তো?
--ঠিক আছে বলবে কবে কোথায় কখন?
আমি অপেক্ষা করবো।
--ধন্যবাদ, শুভ রাত্রি।
অনেক রাত হল আর পড়তে ইচ্ছে করছে না।
বইটা তুলে রাখলাম।কত কথা মনে আসছে।
পুরানো কালে মানে রবীন্দ্রনাথ
বঙ্কিমচন্দ্র শরৎচন্দ্র প্রভাত কুমার প্রমূখের
লেখায় সমকামিদের প্রসঙ্গ আসেনি।তখন
কি  সমাজে সমকামিতা ছিল না ?
তারা কি এ যুগের ফসল? তা কি করে হয়?
মহাভারতে শিখণ্ডির কথা আছে,
সে তো নরদেহে নারী।
চন্দ্রা হয়তো নানা প্রশ্ন করবে, সব প্রশ্নের
জবাব দেব সাধ্য কি?
আমাকে জানতে হবে,আরো পড়তে হবে।
সংসার বড় নিষ্ঠুর,বড় স্বার্থপর।
প্রয়োজন ছাড়া কিছু বোঝেনা।
চন্দ্রা প্রসঙ্গ চাপা পড়ে গেছে অন্যান্য
ব্যস্ততায়।এক পক্ষকাল কেটে গেছে।একদিন
রাতে বেজে উঠল মোবাইল,স্ক্রিনে
ভাসছে চন্দ্রা।
--আমি নীল বলছি।
--আমাকে মনে আছে? আমি চন্দ্রা।
--বুঝতে পেরেছি, বলো।
--একটু দেরী হল,ঘর পেয়েছি।দুপুর
বেলা আসতে পারবে?
--কোথায়,কার ঘর?
--একটা নাচের স্কুল।
সুরক্ষিত,নিরাপদ,একটাই সমস্যা খাট
নেই,মেঝেতে কার্পেট পাতা।
কি চাইছে চন্দ্রা? খাট কার্পেট এসব
কথা কেন? শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহী?
তাতে আমার অনীহা তা নয়।একটা মানসিক
প্রস্তুতির প্রয়োজন।
--তুমি কি শারীরিক সম্পর্ক চাও?
--তা ছাড়া আরও অনেক কথা আছে।নীল
তোমাকে আমার খুব ভাল লাগে।
চন্দ্রার গলায় আকুলতা টের পাই।তেইশ বছর
বয়স আমার অর্ধেকেরও কম।  চিনি না তবু কেন
যেন ওর
প্রতি একটা দুর্বলতা জন্মে গেছে অজান্তে।
বর্তমান সমাজে গে-অস্তিত্বের
নানা প্রতিকূলতা।
--আচ্ছা চন্দ্রা, একটা কথা জিজ্ঞেস
করছি কিছু মনে কোরনা।
তুমি কি ভার্জিন ?
কয়েক মুহূর্তের নীরবতা। চন্দ্রা বলল, এক রকম
ভার্জিন বলতে পারো।
আরও জট পাকিয়ে যায়।এক রকম ভার্জিন?
তার মানে কি? যদিও বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ
নয়।ইতিপূর্বে চড় লাথি খাবার
অভিজ্ঞতা হয়েছে।তার বেশি আর কি হবে।
-- ঠিক আছে চন্দ্রা।দুপুর বলতে কটা,
কোথায় যেতে হবে?
--বুধবার বেলা একটা.......।
বিস্তারিত বিবরণ
কিভাবে যেতে হবে কোথায়
দাড়াতে হবে ইত্যাদি জেনে নিয়ে ফোন
রেখে দিলাম।আমরা স্বাধীন বলে বড়াই
করি আসলে লিখিত অলিখিত
নানা বন্ধনে আমরা বাঁধা।ইচ্ছে হলেই
যা খুশি তা করতে পারি না।সামাজিক
সংস্কার ব্যতিক্রমী ইচ্ছের পরিপন্থী,সব
আকুলতা আমরা প্রকাশ্যে ব্যক্ত
করতে পারি না।বড়
দাবিয়ে রাখে ছোটকে,সবল দুর্বলকে ।
নদী বাহিত পলি জমে হয় পাললিক
শিলা তখন নদী স্রোত আর
তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারেনা।
আমরা যেদিন শিলায় রূপান্তরিত হব সমাজ
তখন আর শাসনের চাবুক হাতে আমাদের
বিচার করার সাহস দেখাতে পারবে না।
বুধবার।যথাসময় নির্দিষ্ট
স্থানে অপেক্ষা করছি।ভর দুপুরে রাস্তায়
লোকজন কম। নজরে পড়ল একটু
দূরে একটি ছেলে ফর্সা ছিপছিপে মাথার
চুল সামনের দিকে পেতে আচড়ানো।
পরনে শ্লিভলেস টি-শার্ট বাড়মূডা।ঘন ঘন
ঘড়ি দেখছে।
ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে আমায়
ঘেষে দাড়াল।অন্য
দিকে তাকিয়ে বলল,নীল?
আমার সন্দেহ হয়েছিল আগেই,ওর
কাধে হাত রেখে বললাম,চন্দ্রা?
--চলো।হাটতে শুরু করল।
আমি ওকে অনুসরন করতে থাকি।
রাস্তা পার হয়ে দু-মিনিট হাটার
পরে একটা তিন তলা বাড়ির
নীচে পৌছালাম। একতলাটা সব
দোকান,নানা রকম সাইনবোর্ড ঝুলছে।
একটিতে লেখা--নৃত্যাঙ্গন।
--তোমার টি-শার্ট টা বেশ।
--সেবার রোমি-দি যখন জাপান
গেছিল আমার জন্য এনেছে।তুমি একটু
অপেক্ষা কর।চন্দ্রা গলির মধ্যে ঢুকে গেল
কিছুক্ষনের মধ্যে তিনতলা বাড়ির সদর
দরজা দিয়ে বেরিয়ে এসে আমাকে ডাকল।
বুঝলাম গলি দিয়ে রাস্তা আছে।
আমি ওকে অনুসরন করে ভিতরে ঢুকি।বিশাল
ঘর।ঢুকেই সামনে ছ-ফুট দেওয়াল
জোড়া আয়না।বা-দিকে বড়
একটা নটরাজের মূর্তি।তার
নীচে মোটা কার্পেট ।আর এক
দেওয়ালে দুটো দেওয়াল আলমারি,
একটি পাল্লা-
অলা আরেকটি পাল্লা খোলা।
পাল্লা খোলা আলমারিতে হারমনিয়াম
তবলা ঝুমঝুমি প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র।আর দু-
তিনটে টুল।আমি একটা টুল নিয়ে বসলাম।
টুলের পাশে কার্পেটে চন্দ্রা আমার হাঁটু
ছুয়ে।
রোদের
মধ্যে এসে ঘেমে গেছি,পাখার হাওয়ায়
বেশ লাগছে।
--এই নাচের স্কুল কার? আমি জিজ্ঞেস
করি।
--রোমি-দির।দারুন নাচে, নাচের
দল নিয়ে জাপান ঘুরে এসেছে।রোমি-
দি আমাকে খুব ভালবাসে, একটা দোষ খুব
জোর খাটায়। জোর
করে আমাকে দিয়ে চিত্রাঙ্গদাতে
নাচিয়েছে।রোমি-দি হযেছিল
চিত্রাঙ্গদা,দারুন মানিয়েছিল।
আমি বলেছিলাম,খালি-
গা হতে লজ্জা করে। তা শুনলে তো?
হেসে বলল,তোকে এমন করে সাজাব কেউ
তোর ব্রেষ্ট বুঝতে পারবেনা।
আমি তোকে শিখিয়ে নেব, তোর দায়িত্ব
আমার। ভীষণ জেদি।আজ কলকাতায় ট্যুইশন
অনেক রাতে একা একা ফেরে।আমার খুব ভয়
করে।
--তোমার রোমি-দির ভয় করে না?
প্রশ্ন শুনে হাসে চন্দ্রা।
--হাসছো কেন?
--রোমি-দির ভয় নেই।একবার স্কুলের এক
ছাত্রীকে মোড়ের
ছেলেগুলো টিটকারি দিয়েছিল,রোমি-
দি গিয়ে এমন শিক্ষা দিল  আড্ডাটাই
উঠে গেল।তুমি যদি দেখতে ছেলেগুলোর
দৌড় !ছেলেগুলো আড়ালে রোমি-
দিকে কি বলে জানো? অবশ্য আমার মাও
বলে।চন্দ্রা ফিক করে হাসে।
--কি বলে?
--বলে মদ্দা!
--তোমার রোমি-দির কথা থাক।
তোমাকে একটা প্রশ্ন করি,
ইচ্ছে না হলে উত্তর দিওনা--
--না-না তুমি বলো কী জানতে চাও?
--তুমি কবে জানতে পারলে তুমি 'গে',
আর পাঁচজনের মত নও ?
চন্দ্রা শান্ত হয়ে যায়,কি যেন ভাবে।
হয়তো স্মৃতি হাতড়ে আমার প্রশ্নের উত্তর
খোজার
চেষ্টা করছে কিম্বা ভাবছে কোথা
থেকে শুরু করবে?আমি চুপ করে বসে থাকি,
কান সজাগ কি বলে চন্দ্রা ?
চন্দ্রা আদ্যোপান্ত
একে একে বলে যায়। ছোটবেলায়
বসে পেচ্ছাপ করা স্কুলে প্যাণ্টি পরা
মদনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা  বিচ্ছেদ তারপর
এড়িয়ে যাওয়া মদনের
মা চুদিয়ে বীমা পলিসি করা
কোচিংয়ের স্যর
চুদতে গিয়ে না পারা তার বৌয়ের
ভর্ৎসনা রোমী-দির সঙ্গে সম্পর্ক রোমি-
দির আধিপত্যকামী মনোভাব জোর
করে দর্শন নিয়ে কলেজে ভর্তি করা--
কোনো কথাই গোপন করে না।
আমি চুপচাপ শুনছিলাম আর
ভাবছিলাম একটি কুঁড়ি কিভাবে ক্রমশ
পুর্ণাঙ্গ কুসুমে রূপান্তরিত হল।জিজ্ঞেস করি,
তার মানে তুমি মদনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হবার
পর উপলব্ধি করলে তুমি সমকামী?
--না ঠিক তা নয়।
ছোটবেলা থেকে আমি অনুভব করতাম
আমি অন্য রকম, অন্যান্যের চেয়ে আলাদা।তখন
গে  কি তা জানতাম না।
--হুম ।এবার বলো তোমার প্রশ্নটা কি?
--প্রতিনিয়ত এক অসহ যন্ত্রনা বহন
করে চলেছি।
ভাবতে গেলে দিশাহারা বোধ করি।
সমকামিরা চিরকাল সমাজে অচ্ছুৎ
হয়ে থাকবে? মানুষের ঘৃনা অবজ্ঞা
তাচ্ছিল্য কুড়িয়ে কাটবে তাদের জীবন?
সমাজ কি কোনদিন তাদের
স্বীকৃতি দেবে না? নিজের মত
করে বাঁচতে চাই--কি এমন অসম্ভব চাওয়া?
আমরা কি করবো,কী ভাবে বাঁচবো?
আমি অন্য কথা ভাবছিলাম।
চিত্রাঙ্গদা রোমি-দির প্রিয় চরিত্র।
তার মানে অবদমিত পুরুষসত্তা?
নারী দেহে পুরুষ? উর্বশীর
অভিশাপে অর্জুনের ক্লীবত্ব প্রাপ্তি
বিরাট রাজার অন্দরে নৃত্য শিক্ষিকা।
চন্দ্রার উপর জুলুম dominating personality?
আলোর আভাষ দেখতে পেলাম।
--কি ভাবছো নীল? আমার কথার উত্তর
দিলে নাতো?
চন্দ্রাকে দুহাতে তুলে দাড়
করিয়ে বললাম, আপাতত আমি তোমাকে আদর
করবো।
জড়িয়ে ধরে চুমু খেলাম। বুকের
মধ্যে চন্দ্রার শরীরটা পাখির মত ছটফট
করছে। দুটি অসমবয়সী উলঙ্গ পুরুষ আয়নায়
প্রতিফলিত।কি সুন্দর দেহ-সৌষ্ঠব
চন্দ্রার,লিঙ্গটি বাদ
দিলে পূর্ণ্যযৌবণা যুবতী।চন্দ্রা নীচু
হয়ে বাড়ার
চামড়া খুলে মুখে পুরে নিয়েছে।ঠোটের
কষ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে লালা। এরকম
চললে বেশিক্ষণ
ধরে রাখতে পারবোনা বুঝতে পারছি।
বগলের নীচে হাত দিয়ে চন্দ্রাকে দাড়
করিয়ে নীচু হয়ে স্তন চুষতে শুরু করি।আমার
মাথায় পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।হঠাৎ
স্তন ছাড়িয়ে নিয়ে কার্পেটে উপুড়
হয়ে পাছা উচু করে বলল চন্দ্রা, এবার আমার
কৌমার্য হরণ করো নীল।
আমি হাটু গেড়ে বসে পাছাটা ফাক
করতে রক্তাভ নিরীহ গুপ্তাঙ্গ স্পষ্ট হল।
মুণ্ডিটা ঠেকিয়ে চাপ
দিতে বেকে গেল।মুখের
কাছে নিয়ে লালা মাখিয়ে দিতে
বললাম, বাড়াটা বার কযেক
মুখে নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে লালা জব জব
হয়ে গেল।এবার গুপ্তাঙ্গে রেখে চাপ
দিতে পুউচ করে ঢুকে গেল। আমার  তলপেট ওর
পাছায় সেটে গেছে। চন্দ্রা কঁকিয়ে উঠল,
উঃ-মা-গো-ও-ও-।
মুণ্ডিটা ভিতরে রেখে বাকীটুকু বার
করে আবার চাপ দিলাম।
এভাবে ঠাপাতে ঠাপাতে তল পেটের
নীচে হাত নিয়ে ওর
বাড়াটা খেচতে থাকি।
--ওঃ নীল
তুমি আমাকে মেরে ফেলবে নাকি?
কিছুক্ষন পর আর
ধরে রাখতে পারিনা,উষ্ণ ঘন তরল
গলগলিয়ে বেরিয়ে গেল।একই সঙ্গে চন্দ্রাও
পুচ পুচ করে ছেড়ে দিল।হাত
দিয়ে ধরে নিল যাতে কার্পেট
নোংরা না হয়।বেসিনে গিয়ে হাত
ধুয়ে এল।জামা প্যাণ্ট পরে টুলে বসে আরাম
করে সিগারেট ধরালাম।চন্দ্রা জিজ্ঞেস
করল, ড্রিঙ্ক করবে ?আল মারিতে আছে।
--কার?
--রোমি-দির।চন্দ্রা হাসল।
--উনি ড্রিঙ্ক করেন?
--ড্রিঙ্ক করে সিগারেট খায় তবে সবার
সামনে নয়।
--না আজ থাক।আচ্ছা চন্দ্রা মহাভারত
পড়েছো?
চন্দ্রা অবাক হয়ে আমাকে দেখে। হঠাৎ
মহাভারত কেন?আমি জানি ও পড়েছে।
--দেখ মদন
তোমাকে সত্যি ভালবাসতো।সবাই
ভালবাসার মানুষকে সুখি দেখতে চায়।
তাই স্বার্থপরের মত নিজের জীবনের
সঙ্গে তোমাকে জড়িয়ে তোমার ভবিষ্যৎ
নষ্ট করতে চায় নি।
তোমাকে এড়িয়ে গেছে।আমার বিশ্বাস
সে এখনও তোমার সব খবর রাখে।
--কিন্তু --।চন্দ্রা কি যেন
বলতে চায়,আমি হাত তুলে বিরত করলাম।
--মদনের মা --স্নেহময়ী জননী।নিজের
চেয়ে সন্তানের অস্তিত্ব তার
কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই
তাকে চুদিয়ে পলিসি করাতে হয়।এই ত্যাগ
তিতিক্ষার নমুনা আমরা পুরানেও পাব।
তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা রইল।
চন্দ্রা মুগ্ধ দৃষ্টিতে আমাকে দেখে।
--তোমার কোচিংযের মাষ্টার বিকার
গ্রস্থ কামুক।বউ তৃপ্তি দিতে পারেনি,অসুস্থ
কাম চরিতার্থ করতে এরা যে কোন পথ
নিতে দ্বিধা করে না।
সিগারেটে দীর্ঘ টান দিয়ে একটু চুপ
করে থাকি।
--এবার তোমার রোমি-দি,
বিদুষী প্রতিভাবান প্রত্যয়ী। ওকে আমার
দেখতে ইচ্ছে হয়।
--আজ কোলকাতায় গেছে।
--চিত্রভানুর কন্যা চিত্রাঙ্গদা।
পিতা তাকে পুত্রের মত লালন -পালন
করেছেন।রোমি-দির প্রিয় চরিত্র তিনি।
কেন? কারণ ঐ চরিত্রে অভিনয় করে অবদমিত
পুরুষ-সত্তা মুক্তির স্বাদ পায়।তোমার
মনে আছে,তুমি নিজেকে বলেছিলে
নরদেহে নারী। বাইরে নর অথচ
অন্তঃসত্তা নারী।সেই নারী-
সত্তা বিপরীত মানসিকতার সঙ্গ
পেতে আকুল।সমকামী হলেও তারা বিপরীত
মানসিকতায় স্বস্তি পায়।শরীরের
নানা বিকল্প হতে পারে কিন্তু
মানসিকতার কোণ বিকল্প নেই।কিছু
মনে কোর না,আমার ধারণা তোমার
রোমি-দি নারী দেহে একজন পুরুষ,
সর্বতোভাবে তোমার পরিপূরক--।
--নীল আমি রোমি-
দিকে না দেখলে থাকতে পারি না।
যদি আমাকে ত্যাগ করে সেই ভয়ে আমি ওর
সব কথা শুনি।
--উর্বশীর অভিশাপে অর্জুন পুরুষত্ব
হারিয়ে বিরাট রাজার অন্তঃপুরে নৃত্য
শিক্ষিকা হয়েছিলেন।তোমার
মধ্যে উনি অর্জুনকে প্রত্যক্ষ করেন।আমার
মনে হয়---।
দরজার কড়া নড়ে উঠল।চন্দ্রা অবাক
হয়ে আমাকে দেখে।
চন্দ্রা উঠে দরজা খুলে দেয়।
তাকিয়ে দেখলাম, পুরুষালি ঢঙ্গে এক
পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে একজন মহিলা।
অত্যন্ত বিরক্তি নিয়ে আমাকে দেখছেন।
--তুমি কোলকাতা যাওনি?
চন্দ্রা জিজ্ঞেস করে।
--এইসব করার জন্য কলেজ কামাই করলি?
মহিলার অভিভাবক সুলভ স্বর।
নিজেকে অবাঞ্ছিত মনে হল।
চন্দ্রাকে বললাম, আমি আসি।
আমি বেরোতে দরজা বন্ধ করে দিলেন
মহিলা। কৌতূহল বশতঃ নড়তে পারলাম না।
স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল ভিতরের  সংলাপ।
--অন্যায় করেছি। বিশ্বাস
করো আমি তোমাকে খুব
ভালবাসি রোমী-দি।
--আমি তোর থেকে সাত-আট বছরের বড়।
--তুমি তো জানো রোমি-দি আমি ওসব
মানি না।
--তা হলে রোমি-দি-রোমি-
দি করছিস কেন?
--তা হলে কি বলব তুমি বলো।
--আমি তিনটের সময় এসেছিলাম।তুই আজ
যা করলি--আমার খুব কষ্ট হয়েছে।
কোলকাতা যেতে পারলাম না।
--তুমি কষ্ট পাও এমন কাজ আমি আর
কোনদিন করবো না।
রোমি ঠাস করে এক চড় কষিয়ে দেয়।
--তুমি আমাকে মারলে?
--বেশ করবো ।মারব-ভালবাসবো-আদর
করবো ।আমার অর্জুন--।
--আঃ আস্তে ....লাগছে...লাগছে..। আমার
দম বন্ধ হয়ে আসছে....।
এরপর সব ভিস্যুয়াল আর
দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই।বাড়ির
দিকে পা বাড়ালাম।ফোন বুক হতে চন্দ্রার
নাম ডিলিট করে দিলাম।

No comments:

Post a Comment